সেরকোঙ্‌ রিনপোছের মৃত্যু এবং পুনর্জন্ম

পরম পূজ্য দালাই লামার জীবনে সম্ভাব্য বিপদ

সেরকোঙ্‌ রিনপোছের মৃত্যু তাঁর জীবনের চেয়েও আরও বেশী গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ১৯৮৩ সালের জুলাই মাসে স্পিতিতে অবস্থিত তাবো মঠে, রিনপোছে পরম পূজ্য দালাই লামা দ্বারা কালচক্র অভিষেক প্রদানের আয়োজন করেছিলেন। এরপরে রিনপোছে কাছেন ড্রুবগ্যাল নামক একজন স্থানীয় বৃদ্ধ ভিক্ষুকে বলেছিলেন যে, তিব্বতী জ্যোতিষবিদ্যা অনুযায়ী এটা পরম পূজ্যর বিঘ্ন-বছর ছিল। পরম পূজ্যর জীবন বিপদে ছিল। এই বিঘ্নগুলি নিজের মধ্যে স্থানান্তর করলে ভাল হবে। তিনি বৃদ্ধ ভিক্ষুকে এই বিষয়ে কাউকে বলতে নিষেধ করেছিলেন।

এরপরে রিনপোছে তিন সপ্তাহের জন্য কঠোর ঐকান্তিক ধ্যানে প্রবেশ করেছিলেন। তারপর তিনি নিকটস্থ একটি সেনা শিবিরে সৈন্যদের বোধিচর্যাবতারের উপর উপদেশ দিতে গিয়েছিলেন। রিনপোছের বর্ধিত সময়ের মধ্যে পুরো গ্রন্থটি ধীরে-ধীরে অধ্যাপনা করার কথা ছিল, কিন্তু তিনি দ্রুত এগিয়ে গেলেন। পরিকল্পিত সময়ের চেয়ে বেশ কিছু দিন আগে তিনি শিবির ছেড়ে চলে গিয়ে বলেছিলেন যে, তাঁর কোথাও যাওয়ার বিশেষ প্রয়োজন আছে। দিনটি ছিল ১৯৮৩ সালের ২৯শে আগষ্ট, পরম পূজ্য দালাই লামা সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় প্যালেস্টাইন মুক্তি সংস্থার অধ্যক্ষ ইয়াসার আরাফাতেরও সেখানে পৌঁছনোর সম্ভাবনা ছিল। পুলিশ কর্তৃপক্ষ আরাফাতের বিরুদ্ধে পরিচালিত সন্ত্রাসবাদের একটি সম্ভাব্য ঘটনা সম্পর্কে উদ্বিগ্ন ছিল। তারা সতর্ক করে দিয়েছিল যে, তারা পরম পূজ্যের নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিতে পারবে না।

Top