রিনপোছের পিতা সেরকোঙ্ দোর্জেছাঙ্-এর অতিরিক্ত শক্তি
সেরকোঙ্ রিনপোছে কখনও নিজেকে একজন যোগী বা বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তি হিসাবে দাবি করেননি। আমাদের যদি কারও একটা উদাহরণ প্রয়োজন হতো যার মধ্যে ঐ ক্ষমতা ছিল, রিনপোছে বলেছিলেন যে, আমাদের কেবল দূরবর্তী অতীতকে দেখার দরকার নেই, তাঁর পিতা সেরকোঙ্ দোর্জেছাঙ্-এর স্পষ্ট উদাহরণ ছিল। গাদেন জাংসে মঠের ভিক্ষু হয়ে তাঁর পিতা অনুত্তরযোগতন্ত্র-ক্রমে পৌঁছে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি চিত্তের গভীরতম স্তরে পৌঁছনোর জন্য একজন বিদ্যার (রিগমা) সাথে বিশেষ যোগের কৌশল অনুশীলন করতে পারতেন। এই নিষ্পন্নক্রমের উন্নত বিন্দুর জন্য অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক পদার্থ এবং শক্তি উভয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ সহ সূক্ষ্ম শক্তির প্রণালীতে পূর্ণ আধিপত্য থাকা প্রয়োজন হয়। সাধারণতঃ তার ব্রহ্মচর্য তাকে এই ধরণের অভ্যাসে যুক্ত হতে নিষিদ্ধ করত। একবার পরম পূজ্য ত্রয়োদশ দালাই লামা তার প্রাপ্তির প্রমাণ চেয়েছিলেন। তখন সেরকোঙ্ দোর্জেছাঙ্ একটি ইয়াকের (চমরী গাই) শিংকে একটা গিঁটে বেঁধে উপস্থাপন করেছিলেন। সম্মত হয়ে ত্রয়োদশ দালাই লামা ঐ স্তরে অনুশীলন করার সময় সেরকোঙ্ দোর্জেছাঙ্কে তার ভিক্ষুত্ব ধারণ করে রাখার অনুমতি দিয়েছিলেন। রিনপোছে সত্যিই উল্লেখ করেছিলেন যে, তাঁর বাবা এই শিংটিকে ছোটবেলায় তাঁদের বাড়িতে রেখেছিলেন।
সেরকোঙ্ দোর্জেছাঙ্ ত্রয়োদশ শতাব্দীর অনুবাদক মারপার পুনর্জন্ম হিসাবে ব্যাপকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। সেরকোঙ্ রিনপোছে, তাঁর পিতার বংশ বজায় রাখার জন্য জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁকে মারপার বিখ্যাত পুত্র দারমা-দোদের পুনর্জন্ম হিসাবে দেখা হয়েছিল। তবুও রিনপোছে একবারও আমার সাথে এটা উল্লেখ করেননি বা কখনও নিজেকে তার পিতার সাথে তুলনা করেননি। যাইহোক রিনপোছের নীরবতা থাকা সত্ত্বেও, তাঁর ঘনিষ্ঠ জনদের কাছে এটা স্পষ্ট ছিল যে, তাঁর মধ্যেও তাঁর সূক্ষ্ম বায়ু-শক্তির উপর নিয়ন্ত্রণ ছিল এবং ছিল অসাধারণ শক্তিও। রিনপোছে যেভাবে নিজের ইচ্ছাশক্তি মতো ঘুমিয়ে পড়তে পারতেন সেটা তারই ইঙ্গিত দেয়। একবার উইনকনসিনের ম্যাডিসনে চিকিৎসা পরীক্ষার অংশ হিসাবে রিনপোছের একটি বৈদ্যুতিক কার্ডিওগ্রাম (ইসিজি) করার ছিল। রিনপোছে পরীক্ষার জন্য নামার সময় উদ্যমী ও সতর্ক ছিলেন। তবুও ডাক্তার যখন রিনপোছেকে শিথিল হতে বলেছিলেন, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই নাক ডাকতে শুরু করেছিলেন।
রিনপোছের নিজস্ব বহির্মুখী ক্ষমতা
ভবিষ্যৎ জানার জন্য রিনপোছের বহিরাগত ক্ষমতাগুলি বেশ কয়েকটি উদাহরণ থেকে দেখা যেতে পারে। রিনপোছে কেবল পরম পূজ্যের একজন শিক্ষকই ছিলেন না, বরং তিনি মাঝে মধ্যে পরম পূজ্যের মা সহ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকেও নির্দেশ দিতেন। মুসাবিদা (প্রোটোকল) অনুযায়ী রিনপোছে সাধারণতঃ কোনও প্রথাগত সাক্ষাতের সময় নির্ধারণ না করা পর্যন্ত কখনই শ্রদ্ধেয় মায়ের সাথে দেখা করতেন না। তবুও শ্রদ্ধেয় মা মারা যাওয়ার ঠিক আগে রিনপোছে তার পরিস্থিতিটি অনুধাবন ক’রে মুসাবিদাটি ভেঙ্গে দিয়েছিলেন এবং অপ্রত্যাশিত ভাবে তাঁর শেষ সাক্ষাৎটি করেছিলেন।
একসময় রিনপোছে ফ্রান্সের লাভা’র-এ অবস্থিত এক শিক্ষা সংস্থানে শিক্ষাদান করছিলেন এবং প্যারিসে যাওয়ার আগে কিছুদিন বিরতি রেখেছিলেন। ঐ সময় আমি আমার বন্ধুদের সাথে দেখা করতে যাওয়ার জন্য ইচ্ছুক ছিলাম এবং কেউ আমাকে একটি যাত্রার প্রস্তাব দিয়েছিল। আমি তখন প্যারিসে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলাম, তখন রিনপোছে বলেছিলেন, “খুব ভাল, তুমি সোমবারে প্যারিস যাচ্ছ।” আমি যখন উত্তর দিয়েছিলাম, “না না, আমি আগামীকাল রবিবারে যাচ্ছি,” তখন রিনপোছে আবার বলেছিলেন, “খুব ভাল, তুমি সোমবার যাচ্ছ।” আমি তখন জিজ্ঞাসা করলাম, “রবিবারে গেলে কোনও সমস্যা হতে পারে কি? আমি কি স্থগিত ক’রে রবিবারের পরিবর্তে সোমবার যাব?” রিনপোছে হেসে বলেছিলেন, “না, না, তেমন বিশেষ কিছু না।”
আমি তখন রবিবারে প্যারিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। অর্ধেক পথ যাওয়ার পর গাড়িটা ভেঙ্গে গিয়েছিল। রবিবার ফ্রান্সে অটো গ্যারেজ বন্ধ থাকায় আমাদের ছোট্ট একটা গ্রামে রাত কাটাতে হয়েছিল। যথারীতি আমরা সোমবার সকালে গাড়িটি মেরামত করেছিলাম এবং রিনপোছে যেমনটি আগেই বলেছিলেন আমি পরের দিন সোমবারে প্যারিস পৌঁছেছিলাম।
রিনপোছে কখনও-কখনও দূরের জিনিস দেখার ক্ষমতা প্রদর্শন করতেন। একদিন ধর্মশালায় তুষিতা রিট্রিট সেন্টারের পরিচালক একটা আচার-বিধির নেতৃত্বের জন্য রিনপোছেকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। জিপটি সেন্টারের কাছে আসতেই রিনপোছে বলে উঠেছিলেন, “তাড়াতাড়ি করুন! পূজাকক্ষে গিয়ে দেখুন! একটি মোমবাতি পড়ে গিয়েছে।” পরিচালক যখন ছুটে গিয়ে দেখলেন যে, সত্যিই একটা মোমবাতি উলটে পড়ে আছে এবং আগুনের সূচনা হতে চলেছে।
রিনপোছে কেবল মানুষের সাথে তাঁর কী ধরণের কর্ম-যোগ ছিল সেটা অনুধাবন করেননি, বরং মাঝে-মধ্যে এই প্রদর্শনটি করেছিলেন যে, অচেনা লোকজনদের সম্পর্কে তাঁকে কিছু না বলা হলেও তিনি জানতেন। একবার উইসকনসিনের ম্যাডিসনে আমার এক বন্ধু পুরোপুরি স্বাভাবিক ভাবে অভিনয় করছিল এবং আমি বা সে কখনই রিনপোছেকে তার গাঁজার অভ্যাসের কথা উল্লেখ করিনি, তাসত্ত্বেও রিনপোছে আমার বন্ধুকে বলেছিলেন যে, তাকে মাদক সেবন বন্ধ করতে হবে। এটা তার উন্নয়নের ক্ষতি করছিল। রিনপোছের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ হওয়া সমস্ত পাশ্চাত্যবাসীদের মধ্যে আমার বন্ধুই একমাত্র ব্যক্তি ছিল যাকে তিনি কখনও গাঁজা সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছিলেন।
মানুষের ভুল-ত্রুটি সনাক্ত করতে এবং তাদের কাজ করতে সহায়তা করার কুশল উপায়
যদিও রিনপোছে অন্যদের মধ্যে অনেক ক্ষতিকারক অভ্যাস এবং প্রবণতা দেখেছিলেন, তবে তিনি মানুষকে তাদের ভুল-ত্রুটিগুলি দেখানোর বিষয়ে সর্বদা দক্ষ ছিলেন। একবার রিনপোছে কয়েক মাস নেপালে থাকাকালীন আমি আমার কাজ নিয়ে ব্যক্তিগত অসুবিধা অনুভব করেছিলাম। পরে আমাদের আবার বুদ্ধগয়ায় দেখা-সাক্ষাৎ হয়। সেখানে আমি “বোধিচর্যাবতার”-এর উপর পরম পূজ্য দ্বারা প্রদত্ত একটা ধর্ম-উপদেশ অনুবাদ করছিলাম। আমি যেভাবে বিষয়গুলি পরিচালনা করছিলাম সেটা ছিল সম্পূর্ণ বোকামি। এই বিষয়টি আমাকে কথায়-কথায় বলার পরিবর্তে রিনপোছে গ্রন্থটির দিকে চোখ বুলিয়েছিলেন, যে গ্রন্থটা আমি অনুবাদ করেছিলাম। তারপর সেখান থেকে বেশ কয়েকটা শব্দ তুলে ধরে তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আমি সেগুলির অর্থ জানি কি না। শব্দগুলি নিয়ে আমার যে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল সেগুলিকে নির্দেশ করছিল। রিনপোছে তাদের সম্পূর্ণ অর্থের ব্যাখ্যা ক’রে দিয়েছিলেন। এর ফলে উক্ত পরিস্থিতি প্রতিকারের জন্য কর্মের গতিপথ নির্দেশ করেছিল।
একবার একজন ধনী, প্রবীণ সুইস মহিলা রিনপোছেকে ট্যাক্সিতে করে জুরিখে অবস্থিত সবচেয়ে অভিনব ব্যয়বহুল ডিপার্টমেন্ট স্টোরে নিয়ে গিয়েছিলেন। রিনপোছে যখন স্টোরটি ছেড়ে চলে এসেছিলেন তখন তিনি মন্তব্য করেছিলেন যে, এতে কোনও জিনিস ছিল না যা আসলে কারও প্রয়োজন। তারপরে তিনি ঐ মহিলাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, তারা ট্রলিটি বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারেন কিনা। মানুষ সাধারণতঃ কীভাবে ভ্রমণ করছিল তা দেখতে মজাদার হবে। বিব্রত হয়ে মহিলাটিকে স্বীকার করতে হয়েছিল যে, তিনি তাঁর সম্পূর্ণ জীবনে কখনও ট্রলি চালাননি এবং কীভাবে এটা ব্যবহার করবেন বা কোথায় নামাবেন সেটা জানেন না। এইভাবে রিনপোছে খুব সাধারণভাবে তাকে সাধারণ জীবন থেকে তার দূরত্বটি দেখিয়েছিলেন।
আর একবার, রিনপোছেকে জুরিখের কাছে একটা বিশাল বড় অলঙ্কৃত প্রাসাদে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানে বাড়ির মহিলা এইরকম বিলাস-বহুলতা পূর্ণ প্রাসাদে অস্বস্তি বোধ করছিলেন। তিনি সহজভাবে মাটির স্তরে থাকতে পছন্দ করতেন। তিনি রিনপোছেকে শয়নের জন্য ওক দিয়ে নির্মিত প্যানেল যুক্ত লাইব্রেরী কক্ষটি নির্মাণ করেছিলেন, যেহেতু এটা বাড়ির মহিমান্বিত কক্ষ ছিল। রিনপোছে এটা একবার দেখে নিয়েছিলেন এবং তারপর তিনি জেদ ধরেছিলেন যে, পরিবর্তে তিনি স্ক্রিনড-ইন-সানপোর্চে ঘুমোবেন। তিনি মহিলাটিকে জানিয়েছিলেন তাঁবুতে থাকতে তিনি কতটা পছন্দ করেন। তাঁর সানপোর্চে তাকে তার উদ্যানের নীচে হ্রদের সুন্দর দৃষ্টির কারণে এক জায়গায় থাকার কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল। এইভাবে তিনি তার প্রাসাদটা যে আরও সহজ ও সরল আনন্দ উপভোগ প্রদান করেছিল, সেটা উপলব্ধি করতে সহায়তা করেছিলেন।
অন্যকে সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে বহুমুখিতা
রিনপোছে অন্যদের সহযোগিতা করতেন সেটা যে কোনও উপায়ে প্রয়োজন এবং সম্ভব হতো। একবার ইতালির পোমাইয়ায় পিত-তারা সাধনার অনুজ্ঞা অনুষ্ঠানের সময় রিনপোছে একজন দরিদ্র ইতালীয় শিল্পীকে আচার-বিধির জন্য তারার একটা ছবি আঁকতে বলেছিলেন। তারা হ’ল ধন-সম্পদ অর্জনের সাথে যুক্ত একটা বুদ্ধকায় (ইষ্টদেব)। সেটা করার ফলে ঐ শিল্পীর পক্ষে উক্ত ধ্যান অনুশীলন থেকে সমৃদ্ধির সুবিধা লাভ করার জন্য একটা শক্তিশালী কর্ম-যোগ প্রতিষ্ঠা করত। ঐ একই কেন্দ্রে অন্য একটা অনুষ্ঠানে রিনপোছে এক যুবককে অল্প পরিমাণ অর্থ প্রদান করেছিলেন। ঐ যুবকের মাতা-পিতার বাড়ি সম্প্রতি লুট করে নিয়েছিল। ঐ উপহারটি তার পরিবারের জন্য তাদের ধন-সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করতে একটি শুভ সূচনা হিসাবে কাজ করেছিল। রিনপোছে অ্যালান টার্নার নামক একজন ঘনিষ্ঠ ব্রিটিশ শিষ্যকে তিব্বতী বর্ণমালার আগম প্রদান করেছিলেন যাতে অনাগত কোনও তারিখে তার মধ্যে একটা ছাপ স্থাপন হয়। টার্নার তিব্বতী শেখার দক্ষতার বিষয়ে আগ্রহ ছিল না অথবা আস্থাও ছিল না বা রাখেনি। আমি যখন তিব্বতী সম্পর্কে আমার গবেষণার উদ্দেশ্যে একটি মালভূমিতে পৌঁছেছিলাম এবং আর কোনও অগ্রগতি করছিলাম না, তখন রিনপোছে আমার সাথে তিব্বতী শব্দকোষ দেখতে শুরু করেছিলেন এবং আমাকে প্রতিটি শব্দ দিয়ে বাক্য লিখতে বাধ্য করেছিলেন।
রিনপোছে একজন সর্বোচ্চ কুটনীতিবিদও ছিলেন। তিনি সবসময় বলতেন যে কেউ আন্তরিকভাবে যা কিছু দেয় সেটা গ্রহণ করতে হয়, বিশেষ করে যদি আমাদের প্রত্যাখ্যান ব্যক্তির অনুভূতিকে ক্ষতি না করে এবং আমাদের গ্রহণের ফলে কোনও ক্ষতি না হয়। এইভাবে যদিও রিনপোছে মিষ্টি কিছু পছন্দ করতেন না, তবে কেউ যদি বিশেষ করে তাঁর জন্য কেক তৈরী করতেন, তাহলে তিনি উৎসাহের সাথে এক টুকরো খেতেন। আসলে এটা যদি ব্যক্তির আত্মবিশ্বাসের পক্ষে উপকৃত হতো, তাহলে রিনপোছে ঙাওয়াঙ্কে প্রস্তুত প্রণালীটা লিখতে বলতেন।
সর্বোপরি, রিনপোছে ছিলেন অত্যন্ত খোলা মনের এবং বহুমুখী। বৌদ্ধ কেন্দ্রের যে আখ্যা দ্বারা রিনপোছেকে আমন্ত্রণ জানানো হতো, সেটা কাগ্যুদ, সাক্য, ঞিংমা, গেলুগ বা থেরবাদ, যাই হোক না কেন তিনি তাদের নির্দিষ্ট পরম্পরা শৈলীতেই শিক্ষাদান করতেন। তাঁর এই নমনীয়তা বৌদ্ধধর্মের সীমা অতিক্রম করেও প্রসারিত হয়েছিল। একবার মিলানে একজন ক্যাথলিক পটভূমির মহিলা জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “এখন শরণ-গমণ করেছি এবং বোধিচিত্ত ও তন্ত্রের সম্বরও ধারণ করেছি। আমার কি এখন গির্জায় যাওয়া ভুল?” রিনপোছে উত্তর দিয়েছিলেন, “এতে কোনও ভুল নেই। আপনি যদি অন্য ধর্মের মতে মৈত্রী এবং করুণা সম্পর্কিত শিক্ষার উপর মনোনিবেশ করেন, তাহলে আপনি কি আপনার শরণ-গমণ এবং সম্বরের মতো একই পথে যাচ্ছেন না?”