মৃত্যু এবং মরণাপন্ন সম্পর্কে বৌদ্ধ পরামর্শ

06:56
আমরা সকলেই মৃত্যুর মুখোমুখি হতে চলেছি। সুতরাং এটাকে আমাদের অবহেলা করা উচিত নয়। মৃত্যু সম্পর্কে বাস্তববাদী হওয়া আমাদের পূর্ণ এবং সার্থক জীবনযাপন করতে সক্ষম করে তোলে। ভয়ে মরে যাওয়ার পরিবর্তে আমরা সুখে মৃত্যুকে বরণ করতে পারি কারণ তখন আমরা আমাদের জীবনের বেশীর ভাগ অংশ ব্যবহার করে ফেলব।

একটা সার্থক জীবনযাপন করা

বছরের পর বছর ধরে আমাদের শরীর পরিবর্তন হয়েছে। সাধারণভাবে বলতে গেলে, এমনকি আধ্যাত্মিকতা বা ধ্যানও এটাকে ঘটতে প্রতিরোধ করতে পারে না। আমরা অনিত্য ও পরিবর্তনশীল, এবং তাই ক্ষণে-ক্ষণে পরিবর্তন হচ্ছি। এটাই প্রকৃতির অঙ্গ। সময় সর্বদা চলমান; কোনও শক্তি সেটাকে থামাতে পারে না। সুতরাং আসল প্রশ্নটা হচ্ছে আমরা সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করছি কিনা। আমরা কি অপরের জন্য আরও সমস্যা সৃষ্টি করতে সময়কে ব্যবহার করি যা অবশেষে আমাদের নিজেদেরকে গভীর ভাবে অসুখীতা বোধ করায়? আমি মনে করি সময়কে কাজে লাগানোর এটা একটা ভুল উপায়।

একটা ভাল উপায় হল প্রতিদিন যথাযথ অনুপ্রেরণার সাথে আমাদের মনকে গড়ে তোলার চেষ্টা করা এবং তারপরে সেই অনুপ্রেরণা সহ অবশিষ্ট দিনটি চালিয়ে যাওয়া। এর অর্থ হ’ল, সম্ভব হলে অপরের সেবা করা এবং সেটা যদি না হয়, তাহলে কমপক্ষে অপরের ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকা। সে ক্ষেত্রে, পেশার মধ্যে কোনও পার্থক্য থাকে না। আপনার পেশা যাই হোক না কেন, আপনি ইতিবাচক অনুপ্রেরণা জাগাতে পারেন। এইভাবে যদি আমাদের সময়টা শুধু পাঁচ বছরের জন্য নয়, বরং দিন, সপ্তাহ, মাস, বছর, দশক ধরে কাজে লাগানো হয়, তাহলে আমাদের জীবন সার্থক হয়ে উঠবে। কমপক্ষে, আমরা আমাদের নিজস্ব ব্যক্তিগত সুখী মানসিক অবস্থার জন্য কিছুটা অবদান রাখব। আজ না হোক কাল, আমাদের সমাপ্তি আসবেই এবং সেদিন আমরা কোনও অনুশোচনা বোধ করব না। আমরা জানব যে, আমরা আমাদের সময়কে গঠনমূলক ভাবে কাজে লাগিয়েছি।

Top