বোধি পথ

স্ব-রূপান্তরকরণের তিব্বতী বৌদ্ধ পথটি মার্গক্রম হিসাবে পরিচিত পরিষ্কার, কাঠামোগত পর্যায় অনুসরণ করে। মার্গক্রম আমাদের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বুদ্ধত্বের রাজ্যে কীভাবে অগ্রগতি করতে পারে তার জ্ঞান সরবরাহ করে।

সমাধি

সমাধির সাথে আমাদের মন গঠনমূলক অবস্থানে, যেমন সরলতা, মৈত্রী এবং বোধশক্তির ক্ষেত্রে মনোনিবেশ করে থাকে, উদাহরণস্বরূপ, যখন কারও কথা শোনা যায় এবং তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করা হয়, সমাধি বজায় রাখার জন্য আমাদের মনকে মানসিক বিচরণ এবং নিস্তেজতা শান্ত রাখা প্রয়োজন। এর পরিবর্তে, মননশীলতা (স্মৃতি-উপস্থান), সতর্কতা এবং স্ব-শৃঙ্খলা দরকার। মননশীলতার দ্বারা, আমরা আমাদের যে মানসিক চাপ না হারিয়ে যে অবস্থা তৈরী করেছি তা মনে রাখি। যখন আমরা আমাদের মানসিক দৃঢ়তা হারিয়ে ফেলেছি সতর্কতা সেটাকে সনাক্ত করে এবং স্ব-শৃঙ্খলা দ্বারা আমরা আমাদের মনোযোগ আর আলম্বন (কেন্দ্রবিন্দু) কে তাদের পূর্ব অবস্থায় পুনরুদ্ধার করি। আমাদের মানসিক অবস্থা তথা নিজের এবং অন্যের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে আন্তরিক যত্ন নিয়ে আমরা বারবার ধ্যান-সাধনার মাধ্যমে এই দক্ষতাগুলি বিকাশের জন্য আমাদের প্রশিক্ষণ দিই।

শূন্যতা

বাস্তবতা সম্পর্কে ভ্রমিত হয়ে, আমরা নিজের উপর এবং প্রত্যেকে আর আমাদের সামনের সমস্ত কিছুর উপর বিদ্যমানতার অসম্ভব উপায়গুলি প্রক্ষেপ করি। উদাহরণস্বরূপ, আমরা কল্পনা করি যে জীবনে আমাদের সমস্যাগুলি আমাদের মনোভাব এবং আচরণের থেকে স্বাধীনভাবে ঘটে। যখন আমরা শূন্যতার বোধ করি, যাহা আমাদের কল্পনার অনুমানের সাথে মিলে যায় এমন বাস্তবের সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি এবং বুঝতে পারি যে আমাদের সমস্যাগুলি একাধিক কারণের একটি পারস্পরিক ক্রিয়া থেকে উদ্ভুত হয় এবং এইভাবে পরিবর্তিত হয়, আমারা নিজেকে মুক্ত করার জন্য অর্থবোধক কৌশল তৈরি করতে পারি তাদের মধ্যে।