পরম পূজ্য দালাই লামা প্রায়শই বলে আসছেন যে শিক্ষাই হল আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির চাবিকাঠি। এর কারণ হল অন্যান্য ধর্মের প্রতি অবিশ্বাস এবং শত্রুতা প্রায়শই, সেই ধর্মের শিক্ষা সম্পর্কিত অজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে। সমস্ত ধর্ম, মৈত্রী, করুণা, ক্ষমা এবং দয়া সার্বজনীন মূল্যবোধে বিশ্বাস করে। তাদের সকলেরই লক্ষ্য একঃ ব্যক্তি এবং সমাজের জন্য একটা সুখী জীবন গড়ে তোলা। তাদের দার্শনিক পার্থক্য কোনভাবেই সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য মূল্যবোধের গুরুত্বকে অস্বীকার করে না। তারা কেবলমাত্র বিভিন্ন ধরণের কাঠামো এবং কারণ প্রস্তুত করে যেটা অনুশীলনকারীদের জন্য এই একই গুণাবলী বিকাশের ক্ষেত্রে সমানভাবে কার্যকর হয়। অতএব, ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন ধর্মের অনুগামীদের শিখতে হবে যে তারা যেন একে অপরের ধর্মগুলি এই একই নৈতিক মূল্যবোধকে নিশ্চিত করে। শুধুমাত্র সঠিক জ্ঞানের আধারে তারা এই সাধারণ ভিত্তি বিনিময় করে যেখানে বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি হতে পারে।
বৌদ্ধ-মুসলিম সম্পর্কের ক্ষেত্রে আন্তঃধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজন বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক, বিশেষ ক’রে মায়ানমার, থাইল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কার ঐ সমস্ত অঞ্চলে যেখানে সাম্প্রদায়িক সংঘাত দেখা দিয়েছে। যদিও সাম্প্রদায়িক স্ব-হিংসতা বা হিংসা সাধারণ সম্প্রদায়ের মধ্যে যথেষ্ট জঘন্য, তবে এটা তখনই অসহনীয় হয়ে ওঠে যখন এটি ভিক্ষু সম্প্রদায়ের মধ্যে বৃদ্ধি পায়। এই পরিস্থিতিকে শান্ত করার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সেটা আমাদের খোঁজ করব।
৭০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় বৌদ্ধ জগতে শিক্ষার অন্যতম প্রধান কেন্দ্র ছিল। সেখানে মহান বৌদ্ধ আচার্যরা চারটি ভারতীয় বৌদ্ধ তত্ত্ব ব্যবস্থা (সিদ্ধান্ত) উপস্থাপন ক’রে গ্রন্থ রচনা করেছেন ও শিক্ষা প্রদান করেছেন; আর সেখানে থাকাকালীন তাঁরা তৎকালীন অন্যান্য চিন্তা-ধারার আচার্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন এবং তাদের সাথে শাস্ত্রার্থ করেছেন। শাস্ত্রার্থে যে পক্ষেরই পরাজয় হয়ে থাকুক না কেন বিজয়ী পক্ষের মতামতকে চূড়ান্ত সত্য হিসাবে মেনে নিতে হয়েছে। সেখানে শাস্ত্রার্থের বাজি উচ্চস্তরের হতোঃ রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতার পক্ষ থেকে শুধুমাত্র এই শাস্ত্রার্থের বিজয়ী পক্ষদের পুরস্কৃত করা হতো।
নালন্দায় ভিক্ষু ছাত্ররা শাস্ত্রার্থের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত করত এবং অবৌদ্ধ ভারতীয় তত্ত্ব ব্যবস্থার অধ্যয়ন করত। তাদের অধ্যয়নের উদ্দেশ্য ছিল এই মতামতগুলিকে খন্ডন করা। তিব্বতের ভিক্ষু প্রতিষ্ঠানগুলি শাস্ত্রার্থের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন ক’রে নালন্দার ঐতিহ্যকে অব্যাহত রেখেছে। আর বৌদ্ধ মতামতের সাথে প্রাচীন ভারতীয় অবৌদ্ধ তত্ত্বব্যবস্থাকে জীবিত রেখেছে।
এখন সময় এসেছে ভিক্ষু এবং ধর্ম-নিরপেক্ষ উভয় শিক্ষায় অবৌদ্ধ চিন্তাধারা ও বৌদ্ধ অধ্যয়নের নালন্দা ঐতিহ্যকে প্রসারিত করার। পাঠ্যক্রমে ইসলামের অধ্যয়নকেও অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন হয়ে উঠেছে, তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন সহ। উভয় ধর্মের মধ্যে সমানভাবে নির্দেশিত সার্বজনীন মূল্যবোধের সাধারণ ভিত্তির খোঁজ করা অধ্যয়নের লক্ষ্য হওয়া উচিত। দার্শনিক পার্থক্য সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করার কাজ শাস্ত্রার্থে প্রতিপক্ষের অবস্থানকে খন্ডন করা মাত্র হওয়া উচিত নয়। পরিবর্তে, কীভাবে মৈত্রী, করুণা ইত্যাদির সার্বজনীন মূল্যবোধগুলি সম্পূর্ণ ভিন্ন চিন্তা-ধারার মাধ্যমে সমানভাবে সমর্থিত হতে পারে তার খোঁজ করা শাস্ত্রার্থের সময় দৃষ্টি নিবদ্ধ হওয়া উচিত।
সেগুলির অধ্যয়নের পরিণাম স্বরূপ বৌদ্ধরা ইসলামের শিক্ষাগুলি বুঝতে, উপলব্ধি করতে এবং সম্মান করতে পারবে, আর উপলব্ধি করতে পারবে যে ইসলাম তাদের বিশ্বাসের পক্ষে কোন বিপদ সৃষ্টি করে না। তার পরিবর্তে তারা আরও সৌহার্দ্য সাম্প্রদায়িক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবদান রাখে, বিশেষ ক’রে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এলাকায় যেখানে পূর্বে সংঘাত শুরু হয়েছে। এইভাবে ভিক্ষুরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিতে পারে। এবার আমরা সংক্ষেপে কিছু উদাহরণের মাধ্যমে দেখব যে কীভাবে ইসলাম এবং বৌদ্ধধর্ম উভয়ের শিক্ষাই এই সার্বজনীন মূল্যবোধকে সমর্থন করে।
যাইহোক ইসলাম ধর্মের মতে, ঈশ্বর সমস্ত নর-নারীকে সৃষ্টি করেছেন- ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস ও আত্ম-সমর্পন জাগানো এবং ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করার বিশুদ্ধ প্রবণতা ও চিত্তবৃত্তির সাথে। ঈশ্বরের ইচ্ছা হল তারা যেন তার দ্বারা রচিত নৈতিক নিয়ম মেনে চলে এবং চরিত্রে ও সেবামূলক কাজে শ্রেষ্ঠতা বজায় রাখার মাধ্যমে তার উপাসনা করে। ঈশ্বরের প্রতি উৎকৃষ্ট সেবা ভাবনার অর্থ হল- ঈশ্বর সৃষ্ট সমস্ত সৃষ্টির প্রতি প্রেমময় আচরণ করা। এটা করাই হল এক ধরণের উপাসনা এবং এরফলে তাকে ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুরূপ উপাসককে ঈশ্বরের কাছাকাছি নিয়ে যায়।
কিন্তু ঈশ্বরও মানুষের সৃষ্টি করার সময় তাকে বুদ্ধি এবং স্বাধীন ইচ্ছা দিয়ে করেছেন। স্বাধীন ইচ্ছা এবং বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ ক’রে মানুষ সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে, তারা ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করবে কি না। যদি তারা ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন না করার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে তারা ধ্বংসাত্মক আবেগের প্রভাবে চলে আসে এবং আত্মকেন্দ্রিক হয়ে ওঠে। ফলে তারা এমন নেতিবাচক আচরণ করতে লাগে যেটা ঈশ্বর দ্বারা নিষিদ্ধ।
মৈত্রী ভাবনার সাথে আচরণ করাও হল একটা স্বাধীন ইচ্ছার কাজ এবং মানুষ তার বুদ্ধি প্রয়োগ ক’রে সেই বিকল্পটি বেছে নিতে পারে। যদি তারা অন্যের প্রতি মৈত্রী এবং দয়ার সাথে আচরণ করে তাহলে তারা ঈশ্বরের কাছাকাছি যাওয়ার জন্য তাদের আভ্যন্তরীণ প্রবণতায় প্রেরিত হয়ে কর্ম করে। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, মানুষ যখন বিশুদ্ধতার সাথে এই জগত এবং মানবতার প্রতি মৈত্রী বিকাশ করে তখন তাদের মৈত্রী এই জগত বা মানব জাতিতে নিজেদের জন্য সীমিত থাকে না বরং ঈশ্বরের জন্য হয়ে যায়, যিনিই তাদের মধ্যে উৎকৃষ্ট গুণ সৃষ্টি করেছেন।
বৌদ্ধধর্মের মতে, সমস্ত সত্ত্বের মধ্যে অনাদিকাল থেকে একটা বিশুদ্ধ বুদ্ধ-স্বভাব (তথাগতগর্ভ) আছেঃ এটাই তাদের নিজেদেরকে বুদ্ধ হতে সক্ষম ক’রে তোলে। ইসলাম অনুযায়ী, মানুষের সহজাত বিশুদ্ধ প্রকৃতি তাদেরকে ঈশ্বরের কাছাকাছি যেতে সহায়তা করে আর কিছু সুফী সমাজে তো এই মান্যতা আছে যে, বিশুদ্ধ প্রকৃতি ঈশ্বরের সাথে একীভূত হয়ে যায়, কিন্তু তারা কখনও ঈশ্বর হয়ে উঠতে পারে না। বৌদ্ধধর্ম অনুযায়ী, তাদের মধ্যে এই তথাগতগর্ভ কেউ সৃষ্টি করেনি। এটা তো কেবল বাস্তবতারূপে বিদ্যমান রয়েছে।
ইসলামের মতো বৌদ্ধধর্মও স্বীকার করে যে মানুষের মধ্যে ভাল গুণ আছে, যেমন- সহজাত করুণা এবং সহজাত বুদ্ধি, যেটা প্রভেদ করতে সক্ষম যে কোনটা সহায়ক এবং কোনটা ক্ষতিকারক। তবে বৌদ্ধধর্মের মতে নৈতিক শৃঙ্খলা বোধগম্যতার উপর ভিত্তি করে যে কোন কর্মগুলি দুঃখ সৃষ্টি করে এবং কোন কর্মগুলি সুখ নিয়ে আসে। বুদ্ধি প্রয়োগ ক’রে মানুষ বিশ্লেষণ করতে পারে এবং পার্থক্য করতে পারে কোনটা সহায়ক এবং কোনটা ক্ষতিকারক। ইসলামের মতে ধর্মে বুদ্ধির ব্যবহার এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য করা হয় যে ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করা হবে কি না। উভয় ক্ষেত্রেই মানুষের কাছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা থাকে যে তারা একটি সহায়ক পদ্ধতিতে কর্ম করবে, না ক্ষতিকারক পদ্ধতিতে, আর কোন্ পদ্ধতিতে কর্ম করবে তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তাদের মধ্যে বুদ্ধির প্রভেদমূলক ক্ষমতা থাকে। যদিও ঈশ্বর এবং বুদ্ধ উভয়ই সর্বজ্ঞ, তাহলেও তাদের মধ্যে কেউই পূর্ব নির্ধারিত করে না যে মানুষ নিজের জন্য কোন্ বিকল্পটি পছন্দ করবে।
ইসলামের মতে ঈশ্বর নৈতিক আচরণের নিয়ম রচনা করেছেন আর ঈশ্বরই পুরস্কার এবং শাস্তি দিয়ে বিচার করেন। তবে ঈশ্বর হল দয়াবান এবং করুণাময়, আর যারা তাদের খারাপ কর্মের জন্য অনুতপ্ত হয় এবং ঈশ্বরের ইচ্ছার কাছে আত্ম-সমর্পণ করে, তিনি তাদের ক্ষমা করেন। বৌদ্ধধর্মের মতে কর্ম ও আচরণগত হেতু এবং ফলের নিয়ম কেউ রচনা করেনি। এটা হল বাস্তবতার প্রকৃতির স্বরূপ মাত্র। অজ্ঞানবশতঃ কৃত ধ্বংসাত্মক আচরণের পরিণাম স্বরূপ স্বাভাবিক ভাবেই জীবকে দুঃখ ভোগ করতে হয়; অন্যদিকে জ্ঞান এবং করুণাবশতঃ কৃত গঠনমূলক কর্ম থেকে সুখ লাভ করা যায়। যাইহোক, ইসলামের মতো মানুষ যদি প্রকাশ্যে তাদের অন্যায় স্বীকার করে আর সেগুলির জন্য আন্তরিকভাবে অনুশোচনা করে (দুঃখময় ফল এড়িয়ে যেতে পারে), বৌদ্ধধর্মও এই শিক্ষা দেয় যে মানুষ নিজেদের নেতিবাচক কর্মের কারণে দুঃখময় ফলগুলি এড়িয়ে যেতে পারে। তাহলেও শুদ্ধিকরণের উদ্দেশ্যে বুদ্ধের কাছে ক্ষমা প্রার্থণা করা এবং ক্ষমা যাচনা করার প্রয়োজন হয় না।
বৌদ্ধধর্ম অনুযায়ী মৈত্রীর অর্থ হল অন্যরা সুখী হওয়া এবং সুখের কারণে যুক্ত হওয়ার কামনা। এটা এই বোধগম্যতার উপর ভিত্তি করে যে সকলেই সমানঃ প্রত্যেকেই সুখী হতে চায় এবং কেউ দুঃখী হতে চায় না। ইসলামে, এই অর্থে সকলেই সমান যে, সমস্ত প্রাণী সমানভাবে ঈশ্বরের সৃষ্টি। তবে উভয়ক্ষেত্রেই সমস্ত প্রাণী সমান।
বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা দেয় যেহেতু সমস্ত প্রাণীর মধ্যে তথাগতগর্ভ আছে, তাই সমস্ত প্রাণীর সুখী হওয়ার ক্ষমতা এবং অধিকার আছে। অতএব, অন্যের প্রতি মৈত্রীভাবনার বিকাশ তাদের সুখী হওয়ার কামনার বিবেচনায় প্রেরিত হয়। মৈত্রী এবং পরসেবা বলতে বুদ্ধের উপাসনা করাকে বোঝায় না। অন্যের প্রতি মৈত্রী ভাবনা বিকাশ ক’রে মানুষ নিজেরাই বুদ্ধ হওয়ার ইতিবাচক শক্তি বিকাশ করে। এই অর্থে তারা বুদ্ধত্ব লাভের কাছাকাছি পৌঁছে যায় কিন্তু ইসলামের মতে এটা মান্য নয় যে কেউ স্বয়ং বুদ্ধের কাছাকাছি পৌঁছে যায়।
এই উদাহরণগুলি থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে পরস্পর দার্শনিক বিচারে পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও বৌদ্ধধর্ম এবং ইসলামের শিক্ষাগুলি মৈত্রী, করুণা এবং ক্ষমার মৌলিক সার্বজনীন মূল্যবোধকে সমানভাবে উৎসাহিত করে। অবশ্যই আন্তঃধর্মীয় শিক্ষা ধর্মীয় সম্প্রীতি স্থাপন করতে যথেষ্ট নয়। বৌদ্ধ এবং মুসলিমদের মধ্যে বিরোধীতার অনেক কারণ আছে এবং সেগুলি জটিলও। তদুপরি, যে সমস্ত ক্ষেত্রে ঝগড়া, কলহ হয়েছে সেসব জায়গায় ঝগড়ার কারণ এক নয়। বর্তমান সময়ে ধর্মীয় আস্থায় পার্থক্যের কারণে সংঘাত খুব কমই হয়। প্রায়শই অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, ভাষাগত, জাতিগত এবং ঐতিহাসিক বিষয়গুলি শত্রুতার সৃষ্টিতে একটা বড় ভূমিকা পালন করে। তবুও আন্তঃধর্মীয় শিক্ষা প্রতিটি পক্ষের ক্ষেত্রে অপরের প্রতি সম্মান প্রদানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে শুধুমাত্র এই শিক্ষাকে আরও বিস্তৃত করার মাধ্যমে ধর্মীয় পার্থক্যের উপর দ্বন্দ্বের দোষারোপ করা থেকে মনোনিবেশ স্থানান্তরিত করা যেতে পারে এবং তার পরিবর্তে অন্তর্নিহিত সামাজিক, ঐতিহাসিক এবং অর্থনৈতিক কারণগুলির সমাধানের দিকে পরিচালিত হতে পারে। তবে রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক দৃষ্টিতে নীতির মধ্যে যেকোন নীতি তখনই সফল হতে পারে যখন সেগুলি বৌদ্ধ এবং মুসলমানদের মধ্যে সাধারণভাবে বিনিময় করা মৌলিক সার্বজনীন মূল্যবোধকে মেনে নেওয়ার উপর ভিত্তি করে। শিক্ষা হল এর চাবিকাঠি এবং আশা করা যায় নালন্দা আরও একবার এইক্ষেত্রে একজন নেতা হিসাবে নেতৃত্ব প্রদান করতে পারবে। ধন্যবাদ!