ইসলাম

বৌদ্ধ ও ইসলামের মৌলিক নীতিগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ, প্রতিটির মৈত্রী, ক্ষমা এবং নীতির আলোচনার তুলনা করে।

মুসলিম জগতে সসম্মানে হাত বাড়িয়ে দেওয়া এবং এশিয়ার যে ক্ষেত্রে দুটি সংস্কৃতি মিলিত হয় সেখানে একে-অপরের আস্থা সম্পর্কিত সঠিক তথ্যকে ব্যাপকভাবে উপলব্ধ করা হল বৌদ্ধ-মুসলিম সম্প্রীতির শ্রেষ্ঠ পথ আর এটাই দালাই লামার জোর।

১৯৫৯ সালের পূর্বে, মধ্য তিব্বতে বসবাসকারী তিব্বতী মুসলমানগণ ছিল মুসলিম বণিকদের বংশধর, যারা তিব্বতী ভাষায় কথা বলত এবং বেশিরভাগ তিব্বতী রীতিনীতি অনুসরণ করত। ভারতীয় নির্বাসনেও, মুসলমান ও বৌদ্ধ তিব্বতী সমাজ ধর্মীয় সহিষ্ণুতার সাথে সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে।

দালাই লামা বিশ্বাস করেন যে অল্প কয়েকজন দুষ্ট লোকের ক্রিয়াকলাপের কারণে একটা সম্পূর্ণ ধর্মকে খারাপ রূপে চিহ্নিত করাটা ভূল। বৌদ্ধধর্মের সাথে-সাথে এটি ইসলাম, ইহুদি, খ্রীষ্টান এবং হিন্দু ধর্মের ক্ষেত্রেও সত্য।

দালাই লামা শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পাশাপাশি তাদের অভ্যন্তরীণ মূল্যবোধ এবং নৈতিকতা বিকাশ করতে উৎসাহিত করেন।

কিছু সাধারণ ভূল বোঝাবুঝি দূর করা এবং ইসলাম ও বৌদ্ধধর্মের মধ্যে অনুরণন অন্বেষণ করার আশায়, "অনুসন্ধানী চিত্ত" ডঃ আলেক্সান্ডার বরজিন এবং ইসলামিক একাডেমিক প্রেক্ষাপট সহ একজন বৌদ্ধ অনুশীলনকারী ডঃ স্নেজানা আকপিনারের মধ্যেকার একটি কথোপকথন।

বৌদ্ধধর্ম এবং ইসলাম পরিবেশগত অবক্ষয়, দূষণ এবং বৈশ্বিক উষ্ণতার মতো সাধারণ সমস্যা মোকাবিলায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন কৌশল প্রদান করে। একে অপরের পদ্ধতি সম্পর্কে আরও বেশি জ্ঞানের সাথে আরও বেশি বোঝাপড়া এবং পারস্পরিক সম্মানও জাগে।

ডঃ বরজিন বৌদ্ধধর্ম এবং ইসলামের তত্ত্বীয় এবং ঐতিহাসিক বৈশিষ্ট্যগুলির রূপরেখা দিয়েছেন যা তাদের মধ্যে মৌলিকভাবে ভাগ করা নৈতিক নীতিগুলি ছাড়াও একটি সাধারণ ভিত্তি নির্দেশ করে।

শিক্ষার মাধ্যমে যখন বৌদ্ধ এবং মুসলিমরা মৈত্রী, করুণা, ধৈর্য এবং ক্ষমার সাধারণ সার্বজনীন মান উপলব্ধি ও প্রশংসা করে, তখন সেখানে দার্শনিক পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, তারা ধার্মিক সম্প্রীতির ভিত্তি স্থাপন করে ফেলে।

ধার্মিক জাতীয়তাবাদের নতুন মতাদর্শ দ্বারা পরিচালিত ডঃ ইমতিয়াজ ইউসুফ দ্বারা 'নব ধর্ম-যুদ্ধ'-এর উপর প্রদত্ত বক্তৃতা, যা বিশ্বব্যাপী নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে ধ্বংস করছে। বৌদ্ধধর্ম শেখায় যে, যে অজ্ঞতা বর্তমান সংঘাতকে উসকে দিচ্ছে সেটাকে প্রতিহত করতে শিক্ষা এবং জ্ঞান প্রয়োজন।