করুণা

বোধিচিত্তের মাধ্যমে আমরা অন্যদের সর্বোত্তমভাবে সহায়তা করার জন্য আমাদের নিজস্ব, ব্যক্তিগত অনাগত বোধির অবস্থার লক্ষ্য স্থাপন করি এবং মৈত্রী, করুণা ও বিবেচনার মতো আমাদের নিজস্ব ইতিবাচক গুণাবলী ব্যবহার ক'রে চলার পথে আমরা নিজেদের জন্য লাভ এবং অন্যদের জন্য আরও সুখ নিয়ে আসি।

অন্যের সাথে উষ্ণ-আন্তরিক সম্পর্কের মাধ্যমে, আভ্যন্তরীণ শান্তি খুঁজে পাওয়ার মাধ্যমেই বিশ্ব শান্তি শুরু হয়।

বেসাক (বুদ্ধ পূর্ণিমা)-এর এই দিনে, বুদ্ধের জন্ম, বোধিলাভ এবং পরিনির্বাণকে স্মরণ করে আমরা তাঁর করুণা, অহিংসা এবং আন্তঃনির্ভরতার সার্বজনীন বার্তাকে স্মরণ করি- এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে এটি আগের চেয়েও বেশী প্রাসঙ্গিক।

দয়া ও সততার সার্বজনীন মূল্যবোধ যে কোনও ধর্মীয় পার্থক্য অতিক্রম করে।

অন্যরা দুঃখ থেকে মুক্ত হয়ে যাওয়ার জন্য করুণার বিকাশ করতে তাদের দুঃখ বিষয়ে কল্পনা করুন।

কীভাবে মৈত্রীর অনুভূতি তৈরী করা যায় এবং এটি অন্য সকলের কাছে প্রসারিত করা যায়।

বৌদ্ধ ও ইসলামের মৌলিক নীতিগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ, প্রতিটির মৈত্রী, ক্ষমা এবং নীতির আলোচনার তুলনা করে।

আভ্যন্তরীণ শান্তি একটি বাস্তববাদী মনোভাব, সততা, করুণা এবং পরার্থপরতা থেকে আসে।

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ আমাদের করুণা, বুদ্ধি এবং সাহস ব্যবহার করে একসাথে কাজ করতে আমাদের একটা অনন্য সুযোগ প্রদান করেছে, এই যুদ্ধ জিততে এবং বিশ্ব-সমাজ কে পুনরায় গড়ে তুলতে।

করুণা বিকাশের বৌদ্ধ পদ্ধতি, মনের উপকারী ভাব অন্যদের দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্ত রাখার জন্য কামনা করে।